ইতিহাস নমুনা প্রশ্ন ২ – সপ্তম শ্রেনী

Author:

বঙ্গ নামটির উল্লেখ প্রথম কোথায় পাওয়া যায়?

বঙ্গ নামটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ঋকবেদের ঐতরেয় আরণ্যক-এ।

মহাভারতে উল্লেখিত চারটি রাজ্যের নাম লেখো।​

মহাভারতে উল্লেখিত চারটি রাজ্যের নাম বঙ্গ, পুন্ড্র, সুহ্ণ ও তাম্রলিপ্ত।

কৌটিল্যের লেখা বইটির নাম কি?

কৌটিল্যের লেখা বইটির নাম অর্থশাস্ত্র।

"রঘুবংশম" কার লেখা?

“রঘুবংশম” মহাকবি কালিদাসের লেখা।

ত্রয়োদশ শতকে একজন উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিকের নাম লেখো।

ত্রয়োদশ শতকে একজন উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিকের নাম মিনহাজ ই-সিরাজ।

আবুল ফজলের লেখা বইটির নাম কি?

আবুল ফজলের লেখা বইটির নাম আইন-ই আকবরি।

'সুবা' কথাটার মানে কি?

‘সুবা’ কথাটার মানে প্রদেশ বা রাজ্য।

বেঙ্গালা নামটি কাদের দেওয়া?

বেঙ্গালা নামটি ষোড়শ, সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকে যেসব ইউরোপীয় বণিক ও ভ্রমণকারীরা এখানে এসেছিলেন তাদের দেওয়া।

কত সালে বাংলার পশ্চিম ভাগের নাম হয় পশ্চিমবঙ্গ?

১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বাংলার পশ্চিম ভাগের নাম হয় পশ্চিমবঙ্গ।

কোন অঞ্চলের নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান?

১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় পূর্ব বাংলা চলে যায় পাকিস্তানের অংশে ও তার নামে হয় পূর্ব পাকিস্তান।

কত সালে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে ও তার নতুন নাম কি হয়?

১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে ও তার নতুন নাম হয় বাংলাদেশ।

প্রাচীন বাংলার সীমানা তৈরি হয়েছিল যে তিনটি প্রধান নদী দিয়ে তাদের নাম কি?

প্রাচীন বাংলার সীমানা তৈরি হয়েছিল ভাগীরথী, পদ্মা ও মেঘনা নদী দিয়ে।

প্রাচীন বাংলার প্রধান অঞ্চলগুলি কি কি?

প্রাচীন বাংলার প্রধান অঞ্চলগুলি ছিল পুন্ড্রবর্ধন, বরেন্দ্র, বঙ্গ, বঙ্গাল, রাঢ়, সুহ্ণ, গৌড়, সমতট ও হরিকেল।

প্রাচীন বাংলার অঞ্চল গুলির নাম কিসের উপর নির্ভর করে হতো?

প্রাচীন বাংলার অঞ্চল গুলির নাম সাধারণভাবে ওই অঞ্চলগুলির অধিবাসীদের নাম অনুসারে হত।

প্রাচীন বাংলার বৃহত্তম অঞ্চলটির নাম কি?

প্রাচীন বাংলার বৃহত্তম অঞ্চলটির নাম পুন্ড্রবর্ধন।

কোন কোন অঞ্চল নিয়ে পুন্ড্রবর্ধন গঠিত?

পুন্ড্রবর্ধন অঞ্চল পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহী এবং পাবনা জেলা জুড়ে ছিল। এক সময় শ্রীহট্ট জেলাও এই অঞ্চলের ভিতরে ছিল।

কোন অঞ্চল বরেন্দ্র নামে পরিচিত ?

ভাগীরথী ও করতোয়া নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল বরেন্দ্র নামে পরিচিত ছিল।

কোন অঞ্চল বঙ্গ নামে পরিচিত?

প্রাচীনকালে ভাগীরথী ও পদ্মা নদীর মাঝে ত্রিভুজের মতো দেখতে ব-দ্বীপ এলাকা বঙ্গ নামে পরিচিত ছিল।

বর্তমানে বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চল বঙ্গ নামে পরিচিত ছিল?

বর্তমানে বাংলাদেশের কোন ঢাকা-বিক্রমপুর, ফরিদপুর ও বরিশাল জেলা বঙ্গ নামে পরিচিত ছিল।

কোন অঞ্চল বঙ্গাল নামে পরিচিত?

বঙ্গের দক্ষিণ সীমানাবর্তী বঙ্গোপসাগরের উপকূল অঞ্চল বঙ্গাল নামে পরিচিত ছিল।

গৌড় কোন কোন অঞ্চল নিয়ে গঠিত?

বর্তমানের মুর্শিদাবাদ, বীরভুম ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা নিয়ে প্রাচীন গৌড় গঠিত ছিল।

কার রচনা থেকে আমরা গৌড় সম্পর্কে জানতে পারি?

বরাহমিহিরের রচনা থেকে আমরা গৌড় সম্পর্কে জানতে পারি।

শশাঙ্কের রাজধানীর নাম কি?

শশাঙ্কের রাজধানীর নাম ছিল কর্ণসুবর্ণ।

সপ্তম শতকে গৌড়ের প্রধান এলাকা কোনটি ছিলো?

সপ্তম শতকে গৌড়ের প্রধান এলাকা ছিল বর্তমান যুগের মুর্শিদাবাদ জেলা।

শশাঙ্কের সময় কোন কোন অঞ্চল গৌড়ের অধীনে ছিলো?

শশাঙ্কের সময়ে সমগ্র গৌড় দেশ, মগধ-বুদ্ধগয়া অঞ্চল এবং ওড়িশার একাংশ গৌড়ের অধীনে ছিলো।

কোন কোন অঞ্চল নিয়ে সমতট গঠিত?

বর্তমান বাংলাদেশের কুমিল্লা ও নোয়াখালি জেলার সমভূমি অঞ্চল নিয়ে সমতট গঠিত ছিল।

কোন নদী সমতটকে বাংলার বাকি অঞ্চল থেকে আলাদা করেছিলো?

মেঘনা নদী সমতটকে বাংলার বাকি অঞ্চল থেকে আলাদা করেছিল।

কোন অঞ্চল হরিকেল নামে পরিচিত?

সমতটের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের উপকূল অঞ্চল হরিকেল নামে পরিচিত ছিল।

উত্তর ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তিগুলির নাম লেখো?

উত্তর ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তিগুলি হল মালব, কনৌজ, স্থানীশ্বর বা থানেসর, কামরূপ, গৌড়।

শশাঙ্ক কতদূর তাঁর রাজত্ব বিস্তার করেছিলেন?

শশাঙ্ক উত্তর-পশ্চিমে বারাণসী পর্যন্ত ও সমগ্র গৌড় দেশ, মগধ-বুদ্ধগয়া অঞ্চল এবং ওড়িশার একাংশে তাঁর রাজত্ব বিস্তার করেছিলেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *